শহর ও অন্ধকার

এশহরে সন্ধ্যা নামে না-
রাত হয়না কখনো।
অন্ধকারের আলকাতরা নামে না,
নামিয়ে আনে না কোনো গাঢ়তম ঘোর।
দৈত্য-দালানগুলো ক্রমাগত মহাকাশে দর্প ঠিকরে দেয়।
আমি তারা খুঁজি, দূরের তারারা-
ছোট ছোট অভিমানি তারারা
নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে দেখে আহত হয়েছি।
এক জানালা অন্ধকার দাও!
রোডলাইট নিভিয়ে দাও!
আঁধারের স্তন থেকে জ্যোৎস্না ঝরুক,
আমি বড় ক্ষুধার্ত শিশু।

1984 : জর্জ ওরওয়েল

1984 আমি এই বইটা পড়েছি বেশকিছুদিন আগে। অনেক বই পড়ার পরপরই রিভিউ দিলেও, এটার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছি। অনুভূতি এত বহুমাত্রিক ও ধারালো, আমি চাচ্ছিলাম একটু গুছিয়ে নিতে।

যাহোক, বইটা বেশ পুরনো। লেখক তাঁর সময়ের কিছু পরের একটা সময় নিয়ে গল্পটা ফেঁদেছেন। ডিসটোপিয়া ধরনের উপন্যাস।

বইটা এক কথায় চমৎকার। এতই চমৎকাররকমের ভীতিপ্রদ যে আমি আবার পড়তে গেলে বেশ সময় নেবো। …

আরো পড়ুন

মিডনাইট'স চিল্ড্রেন: সালমান রুশদি

মিডনাইটস্ চিল্ড্রেন লিখতে বসে বুঝতে পারছি, এই বইটার সমালোচনা লেখা সহজ হবে না। সমালোচনাটায় একটা গণ্ডি রাখতে হবে যেন নিরসকারীতে1 রূপ না নেয়। তো, প্রথমত, দেখার বিষয় পড়ে কেমন লেগেছে। ম্যারি পেরিরা’র চাটনির মত। ঘাসফড়িঙের মত উজ্জ্বল রঙের, এবং নিজস্ব স্বাদের। একটু টক, টক না বলে বলা উচিত ‘চটপটা’ স্বাদের। বলিউডি মুভির মত। রঙচঙে ক্লাইম্যাক্সে ভরা। আসলে পড়ার শুরুতে এটা একটু খারাপ লাগছিল, কিন্তু রুশদি জানেন কোথায় থামতে হয়। আর দশজন ভালো লেখকের মত সংযমের গুণটা তারমধ্যেও আছে। এমন লেখা, এবং টিভি সিরিয়াল চোখে পড়ে- যেখানে ঐতিহাসিক সময়ের অন্য একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, একটি সমান্তরাল বাস্তবতা তৈরী করা হয়। এটা সেরকমই একটা উপন্যাস। খানিকটা ডিসটোপিয়ার ঘ্রাণও পাই বুঝি।

  1. স্পয়লার :stuck_out_tongue: 

আরো পড়ুন

বর্ষাযাপন

বৃষ্টি আসে বৃষ্টি যায়
বুক-চারকোলে আঁকা বিরহের গ্রাফিতি মোছেনা।
ঘোরলাগা ঝমঝম ঝমঝম
ডিএনএ’র মুগ্ধতা, বিরহের প্রাকৃত রিদম।
আমার দুহাতে যদি গেঁথে দাও আঙুল আরও পাঁচ-
এমন বরষাদিনে কীবোর্ডেও আঙুল চলেনা।

বোধি

এ এক বুদ্ধজন্ম
এ এক অশ্বত্থমূলে সুগভীর ধ্যানে জন্মানো বোধি-
তুমি।
আমি আর বড় কোনো সত্যি জানিনা।
চেতনার গভীর নিনাদে
আমি বুক ধড়ফড় জেগে দেখি
তুমি।
তুমি এক সুবাতাস-
ভেসে এলো বুকের উঠোনে।
আমি ঘ্রাণ, শুধু ঘ্রাণ
নিতে নিতে কোথায় হারালো?
আমার গেরুয়া বুনি ফ্যাকাশে লালের ঘোর থেকে।
এ এক বুদ্ধজন্ম
বোধিতে পড়ে কি ঢাকা
হৃদয়ের গভীর যাতনা?