1984 : জর্জ ওরওয়েল

1984 আমি এই বইটা পড়েছি বেশকিছুদিন আগে। অনেক বই পড়ার পরপরই রিভিউ দিলেও, এটার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছি। অনুভূতি এত বহুমাত্রিক ও ধারালো, আমি চাচ্ছিলাম একটু গুছিয়ে নিতে।

যাহোক, বইটা বেশ পুরনো। লেখক তাঁর সময়ের কিছু পরের একটা সময় নিয়ে গল্পটা ফেঁদেছেন। ডিসটোপিয়া ধরনের উপন্যাস।

বইটা এক কথায় চমৎকার। এতই চমৎকাররকমের ভীতিপ্রদ যে আমি আবার পড়তে গেলে বেশ সময় নেবো।

বইটার পটভূমি বেশ গোছানো ও নতুনরকমের। একজন একনায়কের (যে হয়ত কল্পিত, তার রাজনৈতিক দলের কুশপুত্তলিকা) শাসনাধীন বিশাল দেশ, যেখানে শাসনব্যবস্থাকে বলে ইংলিশ স্যোসালিজম যা আসলে একনায়কতন্ত্রের নামান্তরমাত্র। প্রোলেতারিয়েতরা এখানে নিপীড়িত, সংগঠনভুক্তরা সুবিধাপ্রাপ্ত। সবাই সবসময় নজরদারিতে। রাষ্ট্রবিরোধী কিছু ভাবাও অন্যায়, ‘থটক্রাইম’। সরকার প্রচলন করছে নতুন ভাষা, যেখানে নেতিবাচক শব্দ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এখানে মানুষ গুম করে দেয় সরকার এবং তারপর তার সম্পর্কিত সকল কাগজপত্র, দলিল মুছে দেয় মিনিস্ট্রি অফ ট্রুথ। তেমনি মিনিস্ট্রি অফ লাভ চালায় পুলিশ বাহিনী।

এরকম একটা সময়, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র এর বিপক্ষে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এবং শেষমেশ ধরা পড়ে যায়।

এর বেশি বলাটা ঠিক হবেনা কাহিনী সম্পর্কে। আমার বইটা ভালো লেগেছে এর সাহিত্যগুণে, ওরওয়েলের লেখার কারিশমায়। বইটা নাড়াও দিয়েছে, তবে খুব বেশি না। কেননা কম-বেশি তেমন একটা অবস্থায় আমরা বসবাস করছি এখন।