লিখি

যা লিখছি
কিছু অক্ষর দারুণ মসৃণতায়
ফুটে উঠছে নাক্ষত্রিক।
ফোনস্ক্রীনে।

এটাতে বারুদ যোগ করা যেতে পারে কিছু।
সময়মতন তার বারুদগন্ধী দেহের নির্যাস
কারো রক্তে মেশাতে পারে তিক্ততা।
কারো বুকে বিশ্বাসের কপাট ধসিয়ে দিতে পারে।

অথবা নরম কোনো প্রেমের কবিতা।
বালখিল্য প্রচেষ্টায় চেষ্টা করতে পারি
কামনার সুবাস ছড়াতে।

এটা কি একটা শোকগাঁথা হতে পারে?
কতবার লেখা যায়? কজনের নামে?
রাস্তায় বারবার রক্তাক্ত দেহ।
বারবার শিরোচ্ছেদের ভয়ে
শিরদাঁড়াহীন বুদ্ধিজীবীর মৌনতা।
ছুরিটা লুকিয়ে রাখা আলোয়ানে কারো।
শোকগাঁথা লিখতে আমার হাত সরছে না।
বৃথা।

এটা একটা উইল হতে পারে?
আমি লিখে দেবো রক্ত-স্নায়ু, মজ্জা ও মস্তিষ্ক
একফোঁটা সুস্থ জীবন যদি মানুষের কাছে পৌঁছায়।
আমাকে হত্যা করো।
এবং ধ্বংস হও।

অন্ধকারের গান

অন্ধকারের গান, কান পেতে শোনো প্রিয়তমা,
আমিও শুনছি, প্রতিদিন তার ক্রমশঃ স্পষ্ট স্বর।
রাস্তায় পড়া মৃতপ্রায় কেউ রক্তে আঙ্গুল ডুবিয়ে
কার নাম করে আঁকিবুঁকি? কার মুখ ছুঁতে তার ইচ্ছে?
আমার মতই তার দিন গেছে বই শুঁকে শুঁকে প্রেমিকার?
একটুও চোখে চোখ না রেখেই বহুদূর হেঁটে আসত?
নাকি সস্তার কফিশপে বসে জলফড়িঙের চাষবাস?
যারা নামহীন, তাঁদের প্রেমের পান্ডুলিপির খসড়ার,
কারা যেন ছিঁড়ে ফেলে প্রতিদিন আগত দিনের সংলাপ
পেট্রোল ঢেলে মানুষ পুড়িয়ে কেউ খুঁজে পায় উত্তাপ।
অন্ধকারের গান, তোমাকেও খুঁজে নেবে প্রিয়তমা,
আমাকেও খুঁজে নেবে, পালাবার পথ নেই জানা।
অন্ধকারের গান, আমাদের চিনে নেবে ঠিক,
যারা ভালোবাসে জেনো, তারা কেউ জীবিত থাকে না।

ভালো লাগেনা

আর ভালো লাগেনা এখন।
আকন্ঠ অন্ধকারে নিমজ্জিত থেকে
মাথাভরা জোনাকির সাধ পুষে রাখা।
কতটা ধারালো ছুরি
কেটে নিতে পারে
অবলীলাক্রমে,
দুপায়ে মাড়াতে পারে
মানুষের দেহ? শ্রম ও সকল সভ্যতা
ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে।
বিষ জমে
থুথু জমে
গালি জমে কুৎসিত।
বেদনা জমছে গাঢ়
আসছে বছর বুঝি কৃষ্ণচূড়ারা
লাল হবে পরিচিত খুনে।

কুণ্ডুমশাই ও ঢাকা ওয়াসা

কুণ্ডুমশাইয়ের রাজত্ব খুলনায়। বড়সড় একটা বাড়ি তাঁর। সে বাড়ির সাথে মৌচাকের তুলনা করলে দারুণ মেলে। শুনেছি, এক চোর নাকি ওই বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে বেরনোর পথ মালুম করতে না পেরে হতাশ হয়ে বসেছিল। :laughing:

কুণ্ডুমশাই ছিলেন সেকালের ম্যাট্রিকপাশ, চাকরিতে পুলিশের হেডক্লার্ক। হিসেবে পোক্ত তার মাথা, সেজন্য সুনামও ছিল যথেষ্ট। দুটি বিয়ে করা এই রসিক মানুষটি দুটি বউকেই সুয়োরাণী করে রেখেছেন। মাতৃভক্তিও কম না। …

আরো পড়ুন

সাররিয়ালিজম

অনেকেই জানেন, ফ্রানৎয কাফকা’র মেন্টাল ডিজর্ডার ছিল। তার জগতের ছিল নিজস্ব লজিক। সে আমাদের কাছে একুশে আইন বা মগের মুলুক মনে হবে। সেই অদ্ভুত জগতে তার চরিত্রগুলোর বিচরণ, সাররিয়ালিজমের জাল বোনা।

পড়তে শুরু করলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস “দি ট্রায়াল”। জোসেফ কে.-কে গ্রেপ্তার করা হলো। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া, এক্সপ্লেনেশন ছাড়া। শেষ করুন প্রথম চ্যাপ্টার। …

আরো পড়ুন