সাররিয়ালিজম
অনেকেই জানেন, ফ্রানৎয কাফকা’র মেন্টাল ডিজর্ডার ছিল। তার জগতের ছিল নিজস্ব লজিক। সে আমাদের কাছে একুশে আইন বা মগের মুলুক মনে হবে। সেই অদ্ভুত জগতে তার চরিত্রগুলোর বিচরণ, সাররিয়ালিজমের জাল বোনা।
পড়তে শুরু করলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস “দি ট্রায়াল”। জোসেফ কে.-কে গ্রেপ্তার করা হলো। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া, এক্সপ্লেনেশন ছাড়া। শেষ করুন প্রথম চ্যাপ্টার।
এবার বলুন তো, সাররিয়ালিজম কোথায়? এ তো হরহামেশাই চারপাশে দেখছি, তাইনা? কোনো সভ্য দেশে এ ম্যাডনেস, আমাদের এই দেশে এ নিত্তনৈমিত্তিক। বরং জোসেফ কে. ভাগ্যবান। তাকে গুম করা হয়নি।
আমাদের বাস্তবতা সাররিয়ালিজমকে ছাপিয়ে উঠেছে। এখানে ডাক না শুনলে পায়ে গুলি করা হয়, রাজাকারের নামে রাস্তার নাম থাকে। মহামূর্খ অথচ ভয়াবহ শয়তানরা এখানে সর্বোচ্চ পদগুলোয় আসীন। এই পৃথিবী ক্রমশ অন্ধকারে ডুবছে যখন, আমরা ততদিনে ঘুমিয়ে স্বপ্নবাস্তবতায় দিন কাটাচ্ছি।
বিশ্বাস করুন, এই ভয়াবহ আকালে একজোড়া চোখে যদি আমার জন্য অভিমানের ছায়া না কাঁপত, যদি একজন নারী আমায় ভালো না বাসতো, আমি মেনে নিতাম, সমস্ত ভালোকিছু, ভালোবাসাই বরং সাররিয়ালিজম।
‘হিজিবিজি’-গুলো বস্তুতঃ কিছু ছেঁড়াখোড়া, খানিকটা অসংলগ্ন এবং অনেকটাই আবেগাক্রান্ত ক্ষুদ্রদেহ লেখা। খানিকটা দিনলিপির মত। একটা বিষয়ে অনেকটা না ভেবে বরং অনেকটা অনুভব করে লেখা।