জেনেসিস
এবং একটি আরো রাত
মৃত মৃত মাছেদের মত
ভেসে ওঠে।
এবং কনভেনশান মেনে এক ইশ্বর হাঁকেন,
“বিতান হউক!”
অমনি বিতান হয়। মাছের দেহ থেকে ঘ্রাণ
দেহ থেকে জল আর মৃত্তিকার গান
ভাগ হয়ে যায়।
সেই মাটি গায়ে মেখে লুটোপুটি মানুষের ছানা।
মাছরাঙা পাখি— জন্মায় পুনরায় সেই ঘ্রাণ পেতে।
আরেকটি কস্তুরীমৃগ
কেবল দৌঁড়ে দৌঁড়ে সিসিফাস প্রদক্ষিণ করে।
পাথর চূড়ায় উঠে যায়,
পাথর গড়িয়ে পড়ে হরিণের খুব কাছাকাছি।
হরিণের দেহ থেকে বায়ু যায় ঝরে।
পাথরেরও ক্লান্তি হয় নাকি?
মৃত মৃত হরিণের মত
মৃগনাভি বয়ে আনে ক্লান্তির ঘ্রাণ।
মাছেদের মত রাত
রাতেদের মত মূক মাছ
বার বার ভেসে ওঠে ইশ্বরের উপকূলে এসে।
হরিণের ক্লান্তি-ঘ্রাণ মিশে যায় বাতাসে বাতাসে।
থার্মোডায়নামিক্স মেনে সব ক্ষয় হয়ে যায়—
ইশ্বরেরও ক্ষয় হয়!
সে বিষাদ গায়ে মেখে বেড়ে ওঠে মানুষের ছানা।
মানুষীকে ভালোবেসে মানুষেরা
ইশ্বরের জন্ম দিতে থাকে।
বস্তুত ইশ্বর— শুধু অবশ্যম্ভাবী বিতানের বাণী জানে বলে
বিচ্ছেদ ঘনিয়ে তোলে- হেঁকে ওঠে শুধু,
“বিতান হউক!”