আত্মার সৃষ্টি
ইশ্বর (খুব একটা মানবীয় নয়) মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন, হয়ত নিজের ভেতর থেকেই, এবং ঈশ্বর হয়ে উঠলেন।
ঈশ্বর কি খুশি ছিলেন? আমরা খুশি হওয়া বলতে যা বুঝি, ঈশ্বর সম্ভবত তাকে পাত্তাই দেন না, তবে সেটা বোঝা তার জন্য নিশ্চয়ই অসম্ভব না।
ঈশ্বর কি একা ছিলেন? ঈশ্বর সবকিছুই ধারণ করেন, তার বাইরে কিছুই নেই। একা থাকা-না থাকার প্রশ্নই আসে না।
তিনি নিজের ভেতরে তারকাপুঞ্জ দেখেন, তারাদের জন্ম, জ্বলে যাওয়া, মৃত্যু দেখেন। সব নিজের মধ্যেই, শুধু সম্ভবনাই অসীম।
ঈশ্বর প্রথমবারের মত অদ্ভুত এক নির্লিপ্ততার মুখোমুখি হলেন। এক স্থিরতা যা হয়ত সকল কাজের সমষ্টি।
ঈশ্বরের দুঃখবোধ হলো।
ঈশ্বর তো কার্য-কারণ সম্পর্কের অনুগত নন। ফলত, তার দুঃখবোধের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া গেলো না।
তিনি এই ‘অকারণ’-কে মুড়ে দিলেন দুঃখবোধে। নাম দিলেন ‘আত্মা’।
মানুষের কিছু দুঃখবোধের তাই তল পাওয়া যায় না। ভেতরে গেলে কেবল এক অনিবার্য ‘অকারণ’-এর দেখা মেলে।