প্রণয়িনী ও কিছুটা শিশির

বুকের কাছটায় ভিজে ওঠে রাতে-
স্বেদে নয়, শিশিরে তো নয়, ঘামে আর-
বিবিধ বিষণ্ণতা আমার বুকের কাছে কাতরায়।
চুম্বনে সিগারেটই কেবল উষ্ণতা ছড়িয়ে পুড়েছে,
সেখানে কামনা নেই, কামনার থেকে কোনো সুগভীর বোধ
সেখানে ঠোঁটের কাছে জমেনি কখনো।

কখনো কি ঘাম জানে শিশিরের চেয়ে বেশি ব্যাকুল কামনা?
কখনো কি ঠোঁট জানে দূরবর্তী ওষ্ঠের স্বাদ?
এসব অবিশ্রাম সভ্যতার হাতুড়ির ঘাত-
এর মাঝে মন্দ্ররাত্রি সুগভীর কোথাও কি আছে, নিবিড়, আদিম?

প্রণয়িনী ভেসে গেছে কবে!
বহু স্রোতে-
বহু পাললিক বাঁকে ছাপ রেখে রেখে-
আমার থেকেই পেয়ে সুগাঢ় নীল
সমুদ্রযাত্রায় গেছে।
প্রণয়িনী ভেসে গেছে প্রণয়ের গাঢ় অভিমানে-
পৃথিবীর সাথে তার বাঁচার আঁতাতে।

এইসব অবিশ্রাম দিন- আমায় ক্লান্ত করে।
রাত্রির ওমে ফিরে যাই
পৃথিবীর বক্ষপরে, আমাদের আদিতম মাতা-
আমার সংক্ষুব্ধতায় কেবল স্নেহার্দ্র হাত রাখে।
তবুও কি ঘুমোতে পেরেছি?
প্রণয়িনী সপ্তর্ষির নাম জেনে জেনে-
ভুলে গেছে সন্ধ্যাতারার রাগ বাঁধা ছিল কোমলগান্ধারে,
বহুতর স্বেদের প্রকার,
একনিষ্ঠ ওষ্ঠের স্বাদ।
তবুও সে বুকের ভেতর কথা কয়,
তবুও সে দূরতম বাতিঘরে আলো হয়ে থাকে।
এইসব সংঘাতে, ক্লেদাক্ত দিনে কোনো ব্যথা তারে ছুঁলে
বুকের ওপর তার ঝরে ঝরে পড়া
বুকের ওপর তার শিশিরের গান।