রাগ এবং বিবিধ খুনসুটি
তোমার ভীষণ রাগ হলো, জানলা বন্ধ হলো সশব্দে।
 আমার ভীষণ রাগ হলো
 অন্ধকারে হাতড়ে দেয়াশলাই পেলাম টেবিলের পরে-
 ছুঁড়ে ফেললাম।
 রেগে গিয়ে লোডশেডিঙের ভ্যাপসা গরমে
 কাঁথা মুড়ি দিলে।
 রেগে গিয়ে ব্যালকনিতে সিগারেট ধরালাম, যেন খুব প্রতিশোধ।
 তোমার ভীষণ পরাজিত বোধ হলো।
 আমার ভীষণ হারিয়ে ফেলার দীর্ঘশ্বাস।
 যখন কাঁথাটা খামচে নিজের ভেতর কুঁকড়ে যাচ্ছ
 আমার তখন পরাজিত বোধ হলো।
হাতড়ে দেয়াশলাই, জ্বালালেম মোম।
 বিছানায় ফিসফিসিয়ে কবিতা,
 গোপনে, কানের কাছে।
 কতটা যে অভিমান ফুঁপিয়ে উঠলো!
 তোমার। ঠোঁটের কাছে।
বুকের ওপর কিল পড়লো সশব্দে-
 আর মৃদঙ্গ বাজলো কোথাও!
 চোখের কোণায় জল আসলো,
 আর একটা নদীর কল্লোল শোনা গেলো।
 মানুষের বুকের শব্দ শোনা গেলো।
 কোথাও একটা আর্তি শোনা গেলো।
 তোমার? আমার?
ভীষণ যুদ্ধ শুরু হলো!
 কপালে ঠোঁট রাখতেই… “না”!
 কন্ঠে… “না”!
 : আর হবে না, সত্যি!
 : মেরে ফেলবো তোমায়!
 : সত্যি হবে না!
 : সিগারেট খেলে কেন? বাজে!
 : আর করবো না, ব্রাশ করে আসি?
 তুমি কলার ধরলে টেনে
 ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে যখন
 আমার তখন বলা হলো না কিছুই।
 মোমবাতি পুড়তে পুড়তে নিভে গিয়ে
 যখন আকাঙ্খিত অন্ধকার আনলো
 ততক্ষণে রাগ গলে জল।
 আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোনো কূল নেই বলে
 আমরা পরস্পর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ডুবতে থাকলাম।
 তোমার ভীষণ মায়া হলো,
 আমার আদর।