বাঁশপাতা খাম
চিঠিগুলো দেখি, খাম পড়েনাই চোখে।
শুভ্র শরীর প্রেমের বুনটে ঠাসা
সময়ের ছাপ ফ্যাকাসে শরীরজুড়ে
চিঠিগুলো বুঝি বস্তাবন্দি নেশা।
চিঠিগুলো জানে প্রণয়বাক্য যত
রেট্রো-জীবনে বিরহের হাহাকার।
চিঠিগুলো জানে লিখবার অলসতা
বারবার ছবি তুলবার আবদার।
একজন নারী বড় বেশি সাদামাটা
কীভাবে সে হয় বড় বেশি মোহময়?
সে ভালো জানে যে দুপায়ে ভেঙেছে কাদা,
মাটির মানুষ খাঁটি নিষাদের ছেলে
বড় স্বপ্নটা বুকে নিয়ে বড় করে
কুঁড়েঘরে খুঁটি রাজপ্রাসাদের শ্লাঘা।
চিঠিগুলো ক্রমে চুম্বন হয়ে ঝরে
চিঠিগুলো হয় সাদা শার্টের ঘাম।
খুব ছোট ছোট আমার আঙুল গুলো
আঁকড়ে ধরেছে চিঠি লেখা সেই হাত।
বিছানার পাশে ব্ল্যাকবোর্ডের কালো
আমি এঁকে গেছি চকপেন্সিলে হাসি,
ছুটির সকালে খাতাভরা কাটাকুটি
চিঠি লেখা হাত চেনালো বর্ণমালা।
আমার জন্য চিঠি আসেনাই কোনো,
আমার পিতার তামাটে শরীরটুকু
আমার জীবনে বাঁশপাতারঙ খাম।
খাম খুললেই শুভ্র হৃদয় মেলে
খাম খুললেই একটা স্বচ্ছ চোখ
খাম খুললেই চিঠি লেখা এক হাত
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কথা লেখে।
নিজের জন্য আমি নিজে হই চিঠি
আমার পিতাই তার বাঁশপাতা খাম।