ইন দি ওয়ার্ল্ড : ম্যাক্সিম গোর্কি

ইন দি ওয়ার্ল্ড ম্যাক্সিম গোর্কির আত্মজৈবনিক লেখাগুলোর দ্বিতীয় খণ্ড এটি। বোধকরি ‘মাই এপ্রেন্টিসশিপ’ নামেও বইটি প্রচলিত। প্রথম বইটির শেষ থেকে এটি শুরু।

বইটায় গোর্কির কৈশোরের কর্মজীবনের ছবি পাওয়া যায়। যদি ছবি আঁকা হত তবে পাওয়া যেত বিষাদময় অসংখ্য রঙের সমাহার।

এই বইয়ের গোর্কির স্বপ্নেও ভাবার অবকাশ ছিল না প্রথাগত শিক্ষা নেওয়ার। তবে প্রচণ্ড জ্ঞানের ক্ষুধা, গল্পের ক্ষুধা ছিল তাঁর। আর ছিল পায়ের তলায় সর্ষে। কখনো একজন জুতোর দোকানের কর্মী থেকে আর্কিটেক্টের শিক্ষানবিশ, সেখান থেকে স্টিমারের রসুইয়ের কর্মী, পাখি ব্যবসায়ী, ধর্মীয় বই আর ছবির দোকানে কাজ, ছবি আঁকতে শেখা, আবার শিক্ষানবিশ… এভাবেই চলতে থাকা। এরমাঝে বই পড়ার অদম্য ইচ্ছে। সুযোগ পেলেই বই নিয়ে বসা, বইয়ের জন্য অপমানিত হওয়া, বইয়ের জন্য স্নেহ পাওয়া, বই থেকে স্বপ্ন দেখা।

আর আছে মানুষ, হরেকরকমের। আইকনের ওয়ার্কশপের শিল্পীরা, জাহাজের খালাসিরা, সামরিক মানুষজন, উঁচু ও নীচুতলার দেহপসারিনী, দিনমজুর। কদাকার মানুষ, ভিতরে ও বাহিরে, সুন্দর মানুষ। গোর্কিকে দেখা যায় মানুষ বোঝার ভয়াবহ চেষ্টায় রত। এ যেনো জীবনপণ!

আরো দেখা যায় ক্রমশই নড়বড়ে হতে থাকা ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি।

মৃত্যু আছে, দৈন্য আছে, মানুষে অকারণ নিষ্ঠুরতা, মানুষের অবাধ ভালোবাসা সব আছে। একজন মানুষের হঠাৎই পচে যাওয়া, একজনের তিলে তিলে মৃত্যু, একজনের সবসময় আনন্দের সাথে বাঁচা। আবার সবকিছুতেই এক বিষাদের রঙ। বুঝি এই রঙটাই রাশিয়ার দারিদ্র্যের মূল রঙ ছিল।

‘গোর্কি’ মানে ‘তিক্ত’। এই বইতে তার তিক্ততার একটা কৈফিয়ত পাওয়া গেলো,

Why do I relate these abominations? So that you may know, kind sirs, that is not all past and done with! You have a liking for grim fantasies; you are delighted with horrible stories well told; the grotesquely terrible excites you pleasantly. But I know of genuine horrors, everyday terrors, and I have an undeniable right to excite you unpleasantly by telling you about them, in order that you may remember how we live, and under what circumstances. A low and unclean life it is, ours, and that is the truth! I am a lover of humanity and I have no desire to make any one miserable, but one must not be sentimental, nor hide the grim truth with the motley words of beautiful lies. Let us face life as it is!

এই কথাগুলোকে বাস্তববাদী লেখার মূল সুরও বলা চলে।

এই বইটির শেষে গোর্কির বয়স হয় সবে পনেরো। পনেরোটা বছর তাঁর জন্য সহজ ছিল না। এই দুর্বিষহ জীবন গোর্কিকে করেছে ‘গোর্কি’।