চর্যাপদ (অনুবাদ: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ)
সবাই জানেন যে চর্যাপদ বাঙলা সাহিত্যের এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাচীনতম1 নিদর্শন। তবে, এই বাঙলা আমাদের প্রচলিত বাঙলার এত পুরাতন আত্মীয় যে বিশেষজ্ঞ না হলে পড়া কঠিন। সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের চমৎকার অনুবাদে তাই চর্যাপদ হয়েছে সুখপাঠ্য এবং তার ব্যক্তিগত কবিত্বগুণে প্রাণবন্ত।
বইয়ে সবগুলোই কবিতা (এ আর নতুন কী! গদ্যসাহিত্যে বাঙলার কেবল বয়ঃসন্ধির কাল বোধকরি। খুব বেশি হলে যৌবনের প্রারম্ভ।)। কবিতাগুলো মোটেও এলেবেলে না। কয়েকটা দুর্দান্ত প্রেমের কবিতা, কয়েকটি সহজিয়া জীবনের বয়ান আর কতগুলো শ্লেষোক্তি। কবিগণ বড় মানুষ, বড় লোক না। তাই উঠে এসেছে বাঙলার আপামর মানুষের দুঃখ-কষ্টের কাব্য। কবিতাগুলো সান্ধ্যভাষায় লেখা। খানিকটা লুকোচুরি, অনেকটা রূপকের কুয়াশা। তাঁরা এবং বর্তমানের বাউলরাও তাঁদের জীবনযাপনের স্বার্থে রূপকের আশ্রয় নেন। আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না, এজন্য এর ভিতরের সবকিছু জানিওনা। তবে যে সব কবিতা নিছক প্রেম (কখনো কখনো বিদ্রোহী প্রেম) বা সাধারণ জীবনের দুঃখ-কষ্টের কথা বলে সেগুলো বুঝতে পেরেছি। আর হ্যাঁ, স্মার্টনেসের কোনো দেশ-কাল নেই।
বইটির গুডরীডস্ লিঙ্ক।
বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন ই-বইপত্র থেকে।
রচনাকাল খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী (মতান্তরে দশম শতাব্দী) থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে। ↩