পালানোর কবিতা

এই কবিতাটা হতাশার নয়। বুঝলেন?
পেলব জ্যোৎস্না-স্নাত শিশিরের স্বেদ-
তার ঘ্রাণ, এখনো উবতে বাকি
এই কবিতার দেহ থেকে।
এই কবিতাটা মৃত্যুর নয়।

আমি বেশ অগোছালো পিতা কবিতার।
কবিতাটা বাধ্য ভীষণ।
যখন কোথাও আগুন লাগছে দেখে
সে কিন্তু পাশ কাটিয়েই চলে!
পোড়া মানুষের দিকে তাকানোর অবসরে
নীল শাড়িটার ভাঁজ ঠিকঠাক,
কপালে কমলা টিপ
ঠিক মাঝখানে বসে যায়।

গুনে দেখি, তিপ্পান্নটা লাশ।
সংখ্যাটা খুব কম।
তিপ্পান্নজন মানুষ।
আমি চিনি না তাদের।
তিপ্পান্ন একটা সংখ্যামাত্র।
আমার কিচ্ছু এসে যাচ্ছে না।

এই কবিতাটা স্বার্থপরতারই।
এই কবিতাটা ভালোবাসার না।
চামড়ায় কামনা-পারফিউম মেখে
এই কবিতাটা
তার নোংরা ত্বকের আবরণে
ঢেকে রাখে নিস্পৃহ সাপ।

এই কবিতাটা পালানোর।
আগত যুদ্ধ ছেড়ে,
বেশ্যাবাড়ির মোড়ে দাঁড়ানোর কবিতাটা এই!