নারী ও নগর: শহরনামা ০০

শহর গিলছি প্রাণপণে
এবং মজ্জাগত অস্থিরতায়
টাওয়ারের বাতির মত লাল চোখে দেখি
চলে যায় কিছু মুখ,
যারা আর ফেরত আসেনা।

এখানে এ কথাগুলো
অভিধান থেকে ছেঁড়া শব্দে গাঁথিনি।
নাগরিক স্থবিরতা
গতি ব্যথা প্রণয়ের কথকতা
গ্রাফিটি এঁকেছি।
ল্যাম্পপোস্ট-বর্শায় আঁধারের পিঠ ফুঁড়ে
দাঁড়িয়েছে যোদ্ধা যুবতী
আমার শহর!

রক্তজবার মত ব্যাকুলতা বয়ে
আমি খুব রাঙা আর
ছাতিমের মত
বুকভরা কামনা-সুবাস
আমাকে জাগিয়ে রাখে প্রহরে প্রহর।
সারি সারি ল্যাম্পপোস্ট-প্লাজা-ক্যাফে-নিয়ন সাইনে
অভিমানী নিঃশ্বাস-
জেগে আছে নগরী আমার।
এভিনিউ-স্ট্রীটগুলো প্রগলভ তরুণীর মত
উচ্চারণে অনর্গল
শহরের বিপরীত কোণ থেকে গল্প সাজায়।
আমি শুনি,
আমি খুঁজি খুব,
কারো আদলের মুখ,
কারো ঘ্রাণ খুব পরিচিত।

বাতিগুলো মেপে মেপে
সাজালো কে আমার শহরে?
ফাঁকে ফাঁকে জমে আছে ঘন
ততটা অন্ধকার
যতটা আমার প্রয়োজন
বলে দিতে প্রণয়ের কথা
এঁকে দিতে কাতরতা-গ্রাফিটি আমার,
কানে কানে বলে দিতে
আমি বুকে বয়ে চলি আরেক নগর,
স্কাইস্ক্র্যাপারের সারি
বেদনা-আকাশ ছুঁয়ে দিলে
বিষাদের ছায়া পড়ে
রাজপথে তার।
মেহগনি বীজগুলো
ঘুরে ঘুরে ঝরে যেই মসৃণতায়
রাতজাগা আলোগুলো
যেভাবে কেটেছে দাগ পেলব আঁধারে
সেভাবে ব্রাশের স্ট্রোকে দেয়ালে দেয়াল
জমা রাখি আমার বেদনা,
যেভাবে জমিয়ে রাখে শহর আমার।

২০১৪-০৭-২৯ ১৭:৩৫
খুলনা