শহরকবি
জানলা দিয়ে আধখানা চাঁদ
পথের বাঁকে মেঘ কুড়োনোর বায়না দিল
দুহাতভরা জ্যোৎস্নারাশি।
পায়ের তলে শর্ষেদানা স্বপ্নগুলো
কার দুয়ারে আপনি টেনে যাচ্ছে নিয়ে?
কার পাঁজরের এ্যাবাকাসে
গেঁথে-গুনে কষ্ট আমার
পায়ের নীচে সঁপে দেব
অনাঘ্রাত দুঃখরাশি
হিজলফুলের ক্ষুদ্রদেহের দরিদ্রতায়?
আমার এখন ঘুম আসেনা।
লিখতে হবে,
এখানে এই মাটির থেকে খুব উঁচুতে
ঘুম আসেনা, কপালজুড়ে চুম আসেনা
বকুলফুলের ঘ্রাণ আসেনা।
বরং দেখি ক্লকওয়াইজে ছুটতে থাকা।
বরং দেখি এলার্মঘড়ি বলছে রোজই
আমার ক্লান্ত হতেও মানা।
এই শহরও আমার মত রাত চেনে না।
ঘুম জানেনা, সারাটাদিন স্ট্রিট-এভিনিউ
শব্দ ছোঁড়ে শব্দ বাঁধে ছন্দে কোনো।
সারাটা পথ ভীষণ দ্রোহে
ফুঁসছে যেন অযান্ত্রিক এক
জীবন পাওয়ার স্বচ্ছলতার আকুতি তার।
সারাটা পথ, সারা শহর
আমার মত বুকভরা তার ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়
অন্ধজীবন কুড়িয়ে ফেরা
ব্যর্থ নীলাভ দুঃখরাশি।
আমার মত তারও একটা জীবন গেলো
বেনোজলে
আর্তনাদ আর
হতাশ্বাসে।
জুলাই ০৫, ২০১৫, ১:১১ এএম
ঢাকা