শিকার
এই বোধহীনতার শেষ
আমি দেখতে চাইছি।
পায়ের তলায় স্লেটনন্দিত ফুটপাথ
রাস্তার কোথায় আবর্জনা মাখে
আমি দেখতে চাইছি।
দেখা এবং না দেখা,
ঘ্রাণেও লুকনো ঘ্রাণ,
শব্দে লুকনো নৈঃশব্দ্য,
আমি সব দেখতে, শুঁকতে ও শুনতে চাই।
প্রিয়তমা,
আমি তোমার জন্য আরেকবার দেখতে চাই।
আমার মৃগয়া
আমি চিনে নিতে চাই।
লক্ষ্যভেদী তীরের ফলায় অন্ধকার চিরে
হাওয়ার ঝাপটায় মেখে দখিন ঐকতান
আমি বিদ্ধ করতে চাই।
কবিতা শিকার করে ক্লান্ত ফিরতে চাই।
জয়ী।
আমি কি একটা
স্বেদসুগন্ধী স্নান আশা করতে পারি?
স্নায়ু টানটান
আমি ছোঁবো,
ছুঁলেই বাজবে।
নাক্ষত্রিক আলোয়
তোমার কোনো প্রসাধনের প্রয়োজন নেই।
একটা কবিতা শিকার করলে
আমি কি পুরষ্কৃত হতে পারি?
আমার দুহাত টনটন করবে ব্যথায়।
আমার পা চলতেই চাইবে না।
তুমি ঘরে টেনে নিও হাত ধরে।
জমানো বুকের কাছটায়,
মাদকতা।
আমার কন্ঠে ঢেলে দিও।
একটা কবিতা শিকার করলে
তুমি কি সমস্তটুকু নারী হয়ে
ঘিরে নেবে আমার ত্রিকাল?
হাত কাঁপে অনভ্যাসের বশে।
স্থিরহাতে ধরেছি পিনাক
শব্দভেদী তীরের ফলা
দর্পচূর্ণী বিষে জর্জরিত।
আকর্ণ টেনেছি জ্যা
জনাকীর্ণ শহরে এখনই
শিকারে নেমেছি।
প্রিয়তমা,
একটা কবিতা শিকার করলে
একটা জনম
একটা ভীষণ বোকা মানুষ
সহ্য করেই কাটবে তোমার?