পূর্বরাগ
কারচুপিতে বুকের কাছে সুক্ষ্ম সেলাই
দেয়না ধরা তোমার চোখে।
ভুল করে খুব ছোঁওবা যদি
পাঁজর গড়া জাইলোফোনে
মন্দ্রাক্রান্ত সুর তুলে যাও।
আকাশছোঁয়া অফিসবাড়ির
চুড়োয় কিছু নীল জমছে
ষড়যন্ত্রী বুকের পশম
তাঁদের রঙে রঙ মিলিয়ে
তোমায় কিছু বলবে বুঝি?
বসন্তে যে তুমি আমার ঠোঁট ছুঁয়েছো,
আমার শরীর নিঙড়ে দিয়ে
জল জমেছে তোমার বুকে
বৈশাখে তার সবটুকু কি গেছে উবে?
শ্রাবণে তার একটুও কি হয়নি জমা?
কুয়াশা আর হিমের ঘোরে ঋদ্ধ হলে
তোমার বুকের জলতরঙ্গ
অনেকখানি সংবেদী হয়।
শ্রুতির সীমা পেরিয়ে কোথাও বাজবে কি তার?
স্টেশন বাজার পেরিয়ে যখন সন্ধ্যা নামে
তোমার ঘরের ব্যালকনিতে অবাধ্য রোদ
বাধ্য ভীষণ, লজ্জিত আর ক্রিমসন রেড।
আমি তখন অন্ধকারে ডুবতে থাকি
হৃদপিন্ডে অসহ্য এক শীতলতা,
আমার তখন তোমার দেহের ওম প্রয়োজন।
আমি এমন অন্ধকারে কুল পাবো কি?
পাবো আবার অধর ছোঁয়ার অনুমতি?