আদরের মাকড়সা

ঘুমিয়েছে।
আদরের মাকড়সা এইতো কেবল
পাঁজরের আবডালে ঘুম।
সুমন্দ হাওয়ায়
দোলে জাল ঘেরাটোপ,
আটপায়ে আদরের
গাঢ় অসাড়তা মেখে নিয়ে
পাঁজরের আবডালে ঘুম।

বেয়ে বেয়ে উঠেছিল
শরীর ও শরীরের অলি-গলি
অন্ধি-সন্ধি সব জেনেবুঝে নিতে।
সে ষড়যন্ত্রী অভিপ্রায়ে
মুছে দিতে আরসব পরিচিত স্পর্শের রেশ
সারাদেহে বুনেছিল আদরের গভীর বুনট।

তারপর
আর্দ্র উষ্ণ
বুকের ফাটল দিয়ে আগ্নেয় লাভাস্রোতে
পুড়িয়েছে
জ্বালিয়েছে।
আর শিহরণ
ঠোঁট ফেটে রক্তের মত
চোখ ফেটে জল যেন
ভাসিয়েছে
ডুবিয়েছে।
নাভিমূলে
জমানো অতীত
টঙ্কারে জাগিয়েছে
বাজিয়েছে বীণার মতন।
আরবার শিহরণ
জলপ্রপাতের মাদকতা যেন
পাহাড়ী নদীর মত
আমি আর ভাসবার ইচ্ছে রাখিনি।
ডুবিয়েছে
ডুবতেই ডুবিয়েছে ফের।
কপাল ও কপোলের সীমারেখা মুছে দিয়ে
আদরের মাকড়সা
নেমে গেছে ঠোঁট ও চিবুকে,
কাঁধ ও কণ্ঠ বেয়ে
হৃদয় ও আনুসাঙ্গিক পৃথিবীতে
রেশমি সুখের জাল আটমহল প্রাসাদ যেমন।
তারপর গাঢ় আদরের অসাড়তা
ঘুম এনে দিলে তার চোখে
ঘুমিয়েছে।
আদরের মাকড়সা এইতো কেবল
পাঁজরের আবডালে ঘুম।